1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

মহামারিকালীন মসজিদে জামায়াত বিষয়ে ইসলামিক মতামত

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০
  • ২০৫ Time View

অধ্যক্ষ কাজী মোঃ আবদুল হান্নান

সারা বিশ্বে এখন করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। যার সুবাদে বাংলাদেশ এখন ৪র্থ ধাপে রয়েছে।
দিন দিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা গাণিতিক হারে বাড়ছে এবংপাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
সারদেশে অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ।
অবস্থা বেগতিক দেখে সরকার জনগণকে ঘরে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশ প্রদান করেন।
অবস্থা আরও অবনতি হতে থাকলে সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ করে যার যার অবস্থানে থাকতে বলেছেন।
সর্বোপরি শেষমেশ কিছু কিছু এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
সরকারসহ বিভিন্ন দাতাগণ ঘরে আবদ্ধ লোকজনকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে বিশ্বে আস্তে আস্তে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৭০০০০ (সত্তর হাজার) পৌঁছেছে।
আজ ৬ এপ্রিল দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে ৫ ওয়াক্ত জামায়াতে ০৫ জন ও জুমার জামায়াতে ১০ জন নামাজ আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে, বিশ্বের এই ক্লান্তি লগ্নে মুসলিম জাহানের নির্ভরযোগ্য আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড মুফতিগণ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মসজিদে জনসমাগম না করে মসজিদ বন্ধ না করে ইমাম,মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ জামাত আদায় করার বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছেন । যা সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে-
#বুখারী শরীফ হাদিস নং ৫৭০৭. হযরত ওমর (রাঃ)এর “সারাগ” নামক স্থান থেকে ফিরে আসার ঘটনা – তিনি বলেছিলেন ” সিংহ থেকে দূরে থাকার ন্যায় ছোঁয়াছে রোগ থেকে দূরে থেকো ”
#তিরমিজি শরীফ হাদিস নং ২৫১৭
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আগে সোয়ার বাঁধো তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করো।
# বুখারী শরীফ হাদিস নং – ৩৪৭৩
মূলকথা – মহামারি আক্রান্ত শহরে প্রবেশ করিওনা এবং সেখান থেকে বেরও হইওনা।

উপরোক্ত সহি হাদিসের আলোকে ইসলামি গবেষকগণ মহামারিসহ সকল রোগ ও বিপদ থেকে বাঁচার চেষ্টা করাকে তাকদিরের সাথে সাংঘর্ষিক নয় মর্মে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
আর যে হাদিসে “ছোঁয়াছে বলতে কিছু নেই” বলা হয়েছে, সেটি ইসলামের প্রাথমিক যুগের কিন্তু উপরোক্ত হাদিসের বিপরীত ” অসুস্থ পশুকে সুস্থ পশুর নিকট নিয়ে যাবেনা” হাদিসটি এসেছে।
উল্লেখিত হাদিস সমূহের দ্বারা বুঝা যায় যে, এই মুহুর্তে আপনি মসজিদে যাবেন কিন্তু আপনার পাশে নামাজে দাঁড়ানো লোকটি করোনাভাইরাস আক্রান্ত নয় তা আপনি জানার কোন সুযোগ নাই বিধায় পাশে দাঁড়ানো লোকটি থেকে আপনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে জানতে পারেন না তাই তিনি মসজিদে আপনার পাশে দাঁড়ালে তার মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ায় ও সম্ভাবনা আছে।
তাই সরকারি নির্দেশনা ও জীবন বাঁচাতে মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ আদায় করতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..